স্কিনকেয়ার শুরু করার আগে আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে আপনার স্কিন টাইপ জানা। কারণ, যেকোনো স্কিনকেয়ার রুটিন বা প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে যদি আপনি না জানেন আপনার স্কিন আসলে কী ধরনের, তাহলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া কঠিন। এই ব্লগে আমরা দেখাবো কীভাবে আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে নিজের স্কিন টাইপ চেনার উপায় জানতে পারবেন।

স্কিন টাইপ কী এবং কেন এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ? (স্কিন টাইপ চেনার উপায়)

স্কিন টাইপ মানে হচ্ছে আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক গঠন ও আচরণ – এটি নির্ধারণ করে আপনি কোন ধরনের স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন। স্কিন টাইপ মূলত ৫ ধরনের হতে পারে:

• নরমাল (Normal)

• শুষ্ক (Dry)

• তৈলাক্ত (Oily)

• কম্বিনেশন (Combination)

• সংবেদনশীল (Sensitive)

প্রতিটি টাইপের আলাদা যত্নের প্রয়োজন, আলাদা উপকরণ সহ প্রোডাক্ট দরকার। তাই ভুল স্কিন টাইপ অনুযায়ী প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে ব্রণ, ড্রাইনেস, অয়েলিনেস বাড়তে পারে।

ঘরে বসে স্কিন টাইপ চেনার ৩টি প্র্যাকটিক্যাল মেথড (স্কিন টাইপ চেনার উপায়)

🧪 ১. ব্লটিং শীট টেস্ট:

যা লাগবে: ব্লটিং পেপার (বা টিস্যু পেপার)

পদ্ধতি:

1. মুখ ধুয়ে নিন জেন্টল ফেসওয়াশ দিয়ে।

2. কোন কিছু না লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।

3. এরপর একটা ব্লটিং পেপার নিয়ে মুখের বিভিন্ন অংশে আলতো করে চাপ দিন — কপাল, নাক, গাল, চিবুক।

ফলাফল বুঝুন:

• যদি পুরো পেপারে তেল লাগে ➤ Oily Skin

• যদি কেবল টি-জোনে (কপাল, নাক, চিবুক) তেল ➤ Combination Skin

• যদি কিছুই না লাগে ➤ Dry Skin

• যদি অল্প লাগে এবং স্কিন ফ্রেশ লাগে ➤ Normal Skin

💦 ২. ফেসওয়াশ টেস্ট:

1. আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন জেন্টল ফেসওয়াশ দিয়ে।

2. কোনো প্রোডাক্ট না দিয়ে ২ ঘণ্টা বসে থাকুন।

3. তারপর আয়নায় দেখে বুঝুন—

   • টানটান ও ড্রাই ➤ Dry

   • চকচকে ও তেলতেলে ➤ Oily

   • কিছু জায়গা শুষ্ক, কিছু জায়গা তেলতেলে ➤ Combination

   • নরমাল দেখাচ্ছে ➤ Normal

   • র‍্যাশ, রেডনেস, জ্বালাপোড়া ➤ Sensitive

🔍 ৩. প্রশ্নভিত্তিক বিশ্লেষণ:

নিজেকে নিচের প্রশ্নগুলো করুন—

• মুখ ধোয়ার পর কি স্কিন খুব টানটান লাগে?

• দিনে ৩ বারের বেশি কি অয়েল রিমুভ করতে হয়?

• স্কিনে কি খুব সহজে র‍্যাশ হয়?

• মেকআপ কি ঠিকমতো বসে না?

• সানস্ক্রিন দিলে কি স্কিনে জ্বালাপোড়া লাগে?

এর ভিত্তিতে স্কিন টাইপ চিহ্নিত করুন:

• বেশি টানলে ➤ Dry

• বারবার অয়েল ➤ Oily

• দুইই ➤ Combination

• সবকিছুতেই সমস্যা ➤ Sensitive

প্রতিটি স্কিন টাইপের জন্য করণীয় ও কেয়ার রুটিন

🌿 Normal Skin:

• হালকা Cleanser

• Water-based Moisturizer

• Daily Sunscreen

👉 সাজেস্টেড প্রোডাক্ট:

• CeraVe Hydrating Cleanser – 236ml

• Simple Hydrating Moisturiser

🧊 Dry Skin:

• Cream-based Cleanser

• Deep Moisturizer with Hyaluronic Acid

• Night Cream

👉 সাজেস্টেড প্রোডাক্ট:

• Cetaphil Gentle Skin Cleanser 236ml

• COSRX Snail 92 Cream

💧 Oily Skin:

• Gel Cleanser with Salicylic Acid

• Oil-free Moisturizer

• Matte Sunscreen

👉 সাজেস্টেড প্রোডাক্ট:

• COSRX Salicylic Cleanser

• Mamaearth Oil-Free Moisturizer

🍂 Combination Skin:

• Balancing Cleanser

• Zoned Moisturizer (light + rich)

👉 সাজেস্টেড প্রোডাক্ট:

• Muuchstac Facewash

🔥 Sensitive Skin:

• Alcohol-free Cleanser

• Hypoallergenic Moisturizer

• Physical Sunscreen

👉 সাজেস্টেড প্রোডাক্ট:

• Simple Facewash

• CeraVe Eye Repair Cream

কেন স্কিন টাইপের জ্ঞান জরুরি? (স্কিন টাইপ চেনার উপায়)

• প্রোডাক্ট সিলেকশনে ভুল কমে

• ব্রণ, অয়েলিনেস বা র‍্যাশ কমে

• নিজস্ব রুটিন গড়ে ওঠে

• স্কিনে টেকসই রেজাল্ট পাওয়া যায়

মিথ ভাঙা: স্কিন টাইপ চিরস্থায়ী নয়!

আপনার স্কিন টাইপ সময়ের সঙ্গে বদলাতে পারে:

• বয়স বাড়লে

• হরমোনাল চেঞ্জে

• ঋতুর পরিবর্তনে

• মেডিকেশনের প্রভাবে

তাই ৩-৬ মাস পর পর নিজের স্কিন টাইপ আবার চেক করা উচিত।

শেষ কথা

স্কিন ভালো রাখতে চাইলে প্রথমেই নিজের স্কিন টাইপ বুঝে নিন। তারপর রুটিন সাজান, প্রোডাক্ট বাছাই করুন, আর glamnfusion.shop থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিন নিশ্চিন্তে।